……
ইসলামিক আলোচক আবু তোহা মোহাম্মদ আদনান ও তার স্ত্রী সাবিকুন নাহারের পারিবারিক জীবনের টানাপোড়েন যেন থামছেই না। একের পর এক পরকীয়ার অভিযোগ, পাল্টা প্রতিক্রিয়া ও আবেগঘন পোস্টের পর এবার নিজেই বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়েছেন তোহা। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাহলে কি সত্যিই ভেঙে যাচ্ছে আবু তোহা ও সাবিকুন নাহারের সংসার?
দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা আবু তোহা মোহাম্মদ আদনান তরুণ প্রজন্মের কাছে বহুদিন ধরেই প্রেরণার মুখ। তবে সম্প্রতি তার ব্যক্তিজীবনই হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
গত ৩ অক্টোবর তোহার স্ত্রী সাবিকুন নাহার নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তোহা তার পুরনো প্রেমিকা ও বর্তমানে বিমানবালা জারিন বিনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। এমনকি তোহার প্রতিষ্ঠানে ‘প্রেমিক্সিং’-এর অভিযোগও তোলেন তিনি।
পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। তবে কিছু সময় পর পোস্টটি মুছে ফেলে সাবিকুন নাহার নিজের দাবিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে উল্লেখ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এরপর আবু তোহা এক দীর্ঘ পোস্টে লিখেন,
> “ওয়াল্লাহি আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। এমনকি যদি তুমি ইমাম হাসানের কাত্তেলের মতো হতে, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করতাম। কারণ আমি তোমাকে এক আল্লাহর জন্যই ভালোবাসি।”
সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলেই মনে হচ্ছিল, কিন্তু ১১ সেপ্টেম্বর আবারও সাবিকুন নাহার নতুন করে একই অভিযোগ তোলেন। ওই পোস্টে তিনি দাবি করেন, “তোহা এখনো ওই বিমানবালার সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন এবং তাকেই বিয়ে করতে চান।”
এর দু’দিন পর ‘উপসংহার’ শিরোনামে তোহা আদনান নিজের ফেসবুকে লেখেন—
“ভুল সত্তায় অন্ধ ভালোবাসার উপযুক্ত প্রতিদানই সম্ভবত আমার প্রাপ্য ছিল। আমি পেয়েছি, মেনেও নিয়েছি। তবে আল্লাহর কসম—আর না।”
তিনি আরও বলেন,
“হে আমার জাতি, শুধু এতটুকু বলতে চাই—আরশের মালিকের কসম, আমাকে একের পর এক মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। কাবার রবের শপথ, আমি জিনাকার নই। মোহাম্মদের রবের কসম, আমি ব্যভিচারী নই। যার হাতে আমার প্রাণ, তার কসম, আমি কোনো পরনারীর সঙ্গে হারাম সম্পর্কে জড়িত নই।”
তোহা জানান, বিষয়টি বর্তমানে দেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামদের উপস্থিতিতে শরীয়াসম্মত ও আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তির পথে রয়েছে।
এদিকে, তার এই পোস্ট ঘিরে আবারও সরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কেউ সহানুভূতি জানাচ্ছেন তোহার প্রতি, আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন—ইসলামিক বক্তাদের ব্যক্তিজীবনে এমন বিতর্ক তরুণদের উপর কী প্রভাব ফেলছে?
সব মিলিয়ে, আবু তোহা মোহাম্মদ আদনান ও সাবিকুন নাহারের দাম্পত্য জীবন এখন এক অনিশ্চিত পথে দাঁড়িয়ে। এই সম্পর্কের পরিণতি জানার অপেক্ষায় আছে পুরো দেশ।