শাহদাত হোসেন-
নোয়াখালী-

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী, নোয়াখালীর বিএনপি নেতা ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেট্রো হোমসের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম ‘মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে’ এক সংবাদ সম্মেলনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জে নিজ বাসভবনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,

“এস আলম গ্রুপের সঙ্গে ১২শ কোটি নয়, ১২ কোটিও নয়— মাত্র ১২ টাকারও যদি কোনো লেনদেন বা ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি রাজনীতি ও ব্যবসা দুটোই ছেড়ে দেব।”

ফখরুল ইসলাম বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে আমি মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করেছি এবং একাধিক মামলার প্রধান আসামিও ছিলাম। তবুও বিএনপির রাজনীতি ছাড়িনি। দুঃশাসনের সময়ও আমি নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। এ কারণেই আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, একটি দৈনিক পত্রিকা ‘নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি কান্ডারি এস আলমের ক্রাইম পার্টনার জামায়াতের ফখরুল’ শিরোনামে তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে।

“আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রয়োজনে ওই পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো,”— বলেন ফখরুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, “আমার কোনো সম্পর্ক নেই এস আলম গ্রুপ, অর্থ পাচার কিংবা মির্জা কাদেরের সাম্রাজ্যের সঙ্গে। আমি কোনো অর্থ পাচারের সাথেও যুক্ত নই। আমি জামায়াতে ইসলামী দলের সদস্য, সাথী বা রোকন কখনোই ছিলাম না। বিএনপি জন্মের আগেই ছাত্রশিবিরে সক্রিয় ছিলাম, এটা নিয়ে আজকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটি ষড়যন্ত্রেরই অংশ।”

তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন,

> “যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আমি ফারইস্টের চেয়ারম্যান পদ, ব্যবসা এবং রাজনৈতিক দায়িত্ব— তিনটিই ছেড়ে দেব।”

ফখরুল ইসলাম দাবি করেন, তাকে হেয় ও হয়রানি করার জন্য মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তিনি সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে বলেন,

“আপনারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরুন, যাতে জনগণ সত্য জানতে পারে।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আফতাব আহমদ বাচ্ছু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই সেলিম, বসুরহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মতিন লিটন, সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, একরামুল হক মিলন মেম্বার, আনিছুল হক, মহিন উদ্দিন ছোটনসহ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।