1. news@247banglanews.com : NEWS TV : NEWS TV
  2. info@www.247banglanews.com : 24/7 Bangla News :
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন

১০ লাখ টাকার হেরোইন গায়েব, মাদক মামলা বদলে ছিনতাই মামলা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

১০ লাখ টাকার হেরোইন গায়েব, মাদক মামলা বদলে ছিনতাই মামলা!

🗓️ প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২৫ | ✍️ প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিনিধি
📍 ঢাকা, মোহাম্মদপুর

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় এক চাঞ্চল্যকর ‘মাদক গায়েব’ কাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, থানা পুলিশের একটি সিন্ডিকেট নিয়মিতভাবে মাদকের মামলায় লেনদেনের মাধ্যমে আসামিদের বাঁচিয়ে দিচ্ছে। সর্বশেষ ৬ মে রাতে ১০ লাখ টাকা মূল্যের হেরোইনসহ একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের ঘটনা থেকে শুরু হয় বিতর্ক।

পুলিশ সূত্র জানায়, মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের ওয়াটার পয়েন্ট ইউনিট, সেক্টর ৭-এর জি ব্লক থেকে ৩৫ বছর বয়সী সাদ্দাম ওরফে ম্যানেজার সাদ্দামকে প্রায় ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করা হয়। মামলা প্রস্তুতির প্রাথমিক সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও, রহস্যজনকভাবে সেই মাদক মামলা রেকর্ড হয়নি।

মাদক থেকে ছিনতাই মামলায় রূপান্তর!

থানার নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, মামলার এফআইআর, জিডি ও চালান তৈরির কাজ চললেও পরে সেগুলো বাতিল করে পুরোনো একটি ছিনতাই মামলায় সাদ্দামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অথচ সাংবাদিকদের হাতে আসা নথিগুলোতে হেরোইনের অস্তিত্ব ও মামলার প্রস্তুতির বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজু আহমেদ বলেন, “প্রথমে আমাকে মাদক মামলার তদন্তে নিয়োগ দেওয়া হয়, পরে জানানো হয় এটি আসলে ছিনতাই মামলা।”
থানার মুন্সী সাজেদুরের ভাষ্য, “প্রথমে হেরোইনের মামলা করা হলেও পরে তা বাতিল করা হয়।”
অন্যদিকে এসআই আলতাফ বলেন, “সাদ্দামের কাছ থেকে কোনো মাদক উদ্ধার হয়নি, আমরা তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে থানায় এনেছিলাম।”

ওসির বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের অভিযোগ

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওসি আলী ইফতেখার হাসানের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট নিয়মিতভাবে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মামলা লঘু করে বা গায়েব করে দেয়। এই অভিযোগে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ওসির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ২৬টির বেশি লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে।

উর্ধ্বতনদের প্রতিক্রিয়া ও তদন্ত

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার বলেন, “ঘটনার দিন ভুলবশত চালান লেখা হয়েছিল, পরে তা সংশোধন করা হয় এবং তদন্ত চলছে।”
ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জুয়েল রানা ও অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, “তদন্তে যদি দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

📌 এই ঘটনায় প্রমাণিত হলে, এটি হবে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি গভীর দুর্নীতির চিত্র, যেখানে বিচার ও ন্যায়ের চেয়ে প্রাধান্য পাচ্ছে প্রভাব ও অর্থ।

📰 সূত্র: ঢাকা পোস্ট

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট