কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই ছালেহ আহম্মদ গোষ্ঠীর একটি গরু আবুল খায়ের গোষ্ঠীর জমির ধান খেয়ে ফেলে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ছালেহ আহম্মদ গোষ্ঠীর লোকজন আবুল খায়ের গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনায় থানায় চারটি ও আদালতে একটি—মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়।

এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ছালেহ আহম্মদ গোষ্ঠীর সদস্য শেখ ফরিদকে গ্রেপ্তার করে। তার গ্রেপ্তারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা চরমে ওঠে।

শুক্রবার সকালে উত্তর পাড়ায় জাফর আহম্মদের দোকানের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়, পরে তা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সীমা মজুমদার জানান, “গুলিবিদ্ধ ৬ জনসহ ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

সংঘর্ষে জড়িত দুই পক্ষের সাবেক ইউপি সদস্য ছালেহ আহম্মদ ও আবুল খায়েরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, “সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”