1. news@247banglanews.com : NEWS TV : NEWS TV
  2. info@www.247banglanews.com : 24/7 Bangla News :
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:০২ অপরাহ্ন

শায়খ আহমাদুল্লাহ কি জামায়াতের হয়ে নির্বাচন করবেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

শায়খ আহমাদুল্লাহ কি জামায়াতের হয়ে নির্বাচন করবেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনীতি এক চিরপরিবর্তনশীল অঙ্গন—সময় ও বাস্তবতার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলো নেয় নতুন নতুন কৌশলগত সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় দলীয় নীতিতে আনছে পরিবর্তন। বহুদিন ধরে সদস্য বা সক্রিয় কর্মী ছাড়া কাউকে প্রার্থী না করার নীতি থাকলেও এবার দলটি ইসলামি অঙ্গনে পরিচিত বরেণ্য আলেমদের প্রার্থী করার চিন্তা করছে।

এই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া-৩ আসনে ইতোমধ্যে মনোনয়ন পেয়েছেন মুফতি আমির হামজা। বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি, জামায়াতের নীতিনির্ধারকরা আরও কয়েকজন জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্বকে প্রার্থী করার চিন্তা করছেন। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন সম্মানিত ইসলামি চিন্তাবিদ ও আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।

শায়খ আহমাদুল্লাহ এমন একজন ইসলামি বক্তা, যিনি সব ধর্ম ও শ্রেণির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। তিনি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে সমাজকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এমনকি তার ফাউন্ডেশনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও দান করেন, যা তার প্রতি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের আস্থারই প্রমাণ।

তার সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সর্বজনগ্রহণযোগ্যতা দেখে অনেকেই চাইছেন, তাকে রাজনীতিতে এনে গুরুত্বপূর্ণ একটি আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হোক। সম্ভাব্য আসন হিসেবে বিবেচনায় রয়েছে তার জন্মস্থান লক্ষ্মীপুর সদর কিংবা বর্তমান কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ।

তিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী জামে মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনুসারীদের মতে, দেশের যেকোনো আসন থেকেই তিনি শক্তিশালী প্রার্থী হতে পারেন।

তবে মূল প্রশ্ন হচ্ছে—শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজেই কি রাজনীতিতে আসতে আগ্রহী?

এর আগেও ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে তাকে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। তার বক্তব্য ছিল, সাধারণ মানুষের কাতারে থেকেই সমাজসেবা করাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

একটি সাক্ষাৎকারে ইসলামি গণতন্ত্রের ধারণা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র শুধু ভোট নয়, এটি তার একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে দায়িত্বশীল শাসক নির্বাচনের জন্য পরামর্শ গ্রহণ জায়েজ আছে। খেলাফতে রাশেদার আমলেও এর প্রমাণ রয়েছে। তবে গণতন্ত্র যেভাবে প্রত্যেকের মতকে সমানভাবে মূল্যায়ন করে, ইসলাম তেমন করে না। ইসলাম বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী ব্যক্তির মতামতকে বেশি গুরুত্ব দেয়।”

তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রে বলা হয়—জনগণ যা চাইবে, সেটাই আইন। কিন্তু ইসলামে আল্লাহ যা নির্দেশ দিয়েছেন, সেটাই চূড়ান্ত আইন।”

তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—জামায়াত যদি মনোনয়ন দেয়, তবে শায়খ আহমাদুল্লাহ কি তা গ্রহণ করবেন? নাকি আগের মতোই নিজেকে রাজনীতির বাইরে রেখে জনগণের পাশে থেকে সমাজসেবাকে অগ্রাধিকার দেবেন?

সময়ই এর উত্তর দেবে। তবে তার নাম ঘিরে ইতোমধ্যেই ইসলামি মহলে এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট